Sinking GDP Rate: GDP বৃদ্ধির হারে ধস, কমেছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের

<p><strong>নয়াদিল্লি:</strong> দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (GDP) হারে ফের পতন। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার মাত্র ৫.৪ শতাংশ, যা গত ১৮ মাসে সর্বনিম্ন। শুক্রবার ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিস (NSO)a এই পরিসংখ্যান সামনে আনেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে GDP বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস মিলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে হিসেব সামনে এল, তাতে দেখা যাচ্ছে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার অনেকটাই শ্লথ হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড (GVA), যার দ্বারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা হয়, তা-ও কমে ৫.৬ শতাংশ হয়েছে। ক্রয়ক্ষমতা কমেছে মানুষের। এ নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে বিঁধেছে কংগ্রেস। (Sinking GDP Rate)</p>
<p>অর্থনীতির গতি ঠিক রাখতে যে নির্মাণশিল্পের উপর নির্ভর করা হয়, তার বৃদ্ধির হার কমে ৭.৭ শতাংশ হয়েছে। অথচ এক বছর আগেও বৃদ্ধির হার ১৩.৬ শতাংশ ছিল। কৃষিতে বৃদ্ধির হার সামান্য বেড়ে ৩.৫ শতাংশ হলেও, খনিতে বৃদ্ধির হার কমেছে -০.১ শতাংশ। উৎপাদনের বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত বছর ছিল ১৪.৩ শতাংশ, আগের ত্রৈমাসিকে ৭ শতাংশ। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার কমে ৩.৩ শতাংশ হয়েছে, আগের বছর যা ১০.৫ শতাংশ এবং গত ত্রৈমাসিকে ১০.৪ শতাংশ ছিল। রিয়েল এস্<a title=”টেট” href=”https://bengali.abplive.com/topic/tet” data-type=”interlinkingkeywords”>টেট</a>, অর্থনৈতিক পরিষেবায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সরকারের খরচ বেড়েছে সামান্য, ৯.২ শতাংশ, যা গত বছর ৭.৭ শতাংশ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতির গতি ফিরে আসা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। (India GDP Growth)</p>
<p>এই &nbsp;পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছে কংগ্রেস। দলের নেতা জয়রাম রমেশের কথায়, “কোনও ব্যতিক্রম নেই, প্রতিটি তথ্যপ্রমাণ একই কথা বলছে যে, ভারতের সাধারণ নাগরিকের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। ১০ বছর আগে যে হারে কেনাকাটা করতেন, বর্তমানে তার চেয়ে অনেক কমেছে ক্ষমতা।” একাধিক রিপোর্ট সামনে রেখে জয়রাম দাবি করেন, গত এক দশকে মজুরি একই জায়গায় রয়েছে। GDP-র এই হতাশাজনক অবস্থার জন্য মজুরির বৃদ্ধি না হওয়াও দায়ী। বেসরকারি সংস্থাগুলিও নতুন করে বিনিয়োগ করতে চাইছে না বলে মন্তব্য করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতৃত্ব।</p>
<p>সরকারি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জয়রাম জানান, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি একই জায়গায় রয়েছে। বরং ২০১৯-২০২৪ সালের মধ্যে মজুরি কমতেও দেখা যায়। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইঁটভাটার শ্রমিকদের আয় কমেছে, যা কি না দেশের দরিদ্রতম মানুষের আয়ের অন্যতম ভরসা। মনমোহন সিংহের আমলে কৃষিক্ষেত্রে বছরে মজুরিবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। মোদি সরকারের আমলে তা-১.৩ শতাংশে নেমে গিয়েছে। বেতনভোগী, ঠিকাকর্মী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আয়বৃদ্ধি গতি হারিয়েছে, একই জায়গায় আটকে রয়েছে আয়। জয়রামের প্রশ্ন, “প্রধানমন্ত্রীর প্রচারের ঢক্কানিনাদে দেশের মানুষ আশায় বুক বাঁধেন। কিন্তু এই ভয়াবহ বাস্তব থেকে আর কতদিন মুখ ফিরিয়ে থাকা হবে? ” পাশাপাশি, GDP এবং মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান দেরিতে প্রকাশ করা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।&nbsp;</p>

Similar Posts